অর্গানিক বেতাগার মল্লিসকা বিলে ১০একর জমিতে খেসাড়ী ডালের বাম্ফার ফলন

02(22)[1]
ফকিরহাট প্রতিনিধি।  বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার অর্গানিক বেতাগার মল্লিসকা বিলে ১০একর জমিতে খেসাড়ী ডাল চাষে বাম্ফার ফলন হওয়ায় শতাধিক কৃষকের ভাগ্যো বদলে যেতে বসেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রধান পেষ্টপেষকতা আর এলাকার কৃষকদের অক্লান- পরিশ্রমের কারনে এটি করা সম্ভাব হয়েছে। জানা গেছে, প্রট্রিন সমূদ্ধ ডাল হিসাবে খেসাড়ী ডালের সুপরিচিতি সর্বদা বিদ্যামান রয়েছে। আগেরকার দিনে স’ানীয় কৃষকরা আমন ধান কাটার পূর্বে হতে তাদের স্বঃ স্বঃ জমিতে খেসাড়ী ডালের চাষ করতো। কিন’ কালের পরিবতন হওয়ায় কৃষকরা আমন ধান তুলে সেই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করায় খেসাড়ী ডাল চাষে কৃষকরা অনাগ্র দেখায়। ফলে উপজেলার প্রত্যান- অঞ্চলে কৃষকরা এখন আর আগের মত খেসাড়ী ডাল চাষে তেমন একটা উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় না। সেই রীতি নীতি-কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে স’ানীয় শতাধিক কৃষক উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রায় ১০একর জমিতে খেসাড়ী ডালের চাষ করেছেন। প্রথম দিকে কৃষকরা তাদের জমিতে বীজ রোপন করে হতাশা গ্রস’ হলেও পরর্বতীতে ভাল ফলন দেখায় তাদের সে হতাশা অনেকটা দুর হয়েছে। খেসাড়ী চাষি মুকুল কুমার সরকার, অরবিন্দু দাশ, হারুনার রশিদ ও তহমিনা বেগম জানান, জানুয়ারী মাসের দ্বীতিয় সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে তারা পতিত ও উচু জমিতে খেসাড়ী ডালের চাষ করে থাকেন। কম খরচে স্বল্প সময়ে মাত্র ৬০দিনের মধ্যে খেসাড়ীর ফসল ঘরে তুলা যায়। কোন প্রকার চাষাবাদ ছাড়াই অল্প খরচে পতিত লবনাক্ত ও উচু জমিতে সহজ উপায়ে এই ফসলটি রোপন করলে ফলন ভাল হবে। শুধু তাই নয়, রবি শস্যা ঘরে তুলে অন্য ফসল রোপন করতেও কোন সমস্যা হয়না। তাই স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ার জন্য খেসাড়ীর কোন তুলনা হয়না। কৃষকরা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ কুমার মন্ডল ও সোলায়মান আলী মন্ডল তাদেরকে সর্ব সময় খেসাড়ীর ডাল চাষে উৎসাহ যোগাতো। তাদের নানা প্রকার পরামর্শে কৃষকরা স্বঃ স্বঃ উচু ও পতিত জমিতে খেসাড়ীর চাষ করেছেন। তারা আরো বলেন, রবি শস্যা উঠে যাওয়ার পর তারা জমি গুলি ফেলে রাখতো। কিন’ কৃষি অফিসারদের অনুরোধে তারা ফসল রোপন করে এখন বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। প্রকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতি দেখা না দিলে উৎপাদন যা হয়েছে তাতে তারা বেশি লাববান হবেন। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ কুমার মন্ডল ও সোলায়মান আলী মন্ডল এর সাথে আলাপ করা হলে তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে এলাকার কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে নানা প্রকার প্রশিক্ষন ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। তার পরেই মাঠে গিয়ে হাতে কলমে তাদেরকে শিখাই। আর শেখানোর ফলে তারা উৎসাহী হয়ে এবার খেসাড়ীর চাষে মনোযোগী হয়েছেন। আর মনোযোগী হয়ে সকলে একত্রে খেসাড়ীর চাষ করেছে বলেই এবার ভাল ফলন পাবেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, পতিত উচু ও লবনাক্ত জমিতে সহজেই খেসাড়ী ডালের চাষ করা যায়। খেসাড়ীর চাষ করলে মাটির স্বাস’্য সুরক্ষার পাশাপাশি জমিতে জৈব পদার্থ যোগ হয়। তাছাড়া ডালের যে অবশিষ্ট অংশ থাকে সেটি গো খাদ্রের জন্য ব্যাবহার হয়ে থাকে। যে কারণে আমাদের-কে উচু পতিত ও লবনাক্ত জমিতে খেসাড়ীর চাষ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি কৃষকরা যদি তাদের উচু পতিত ও লবনাক্ত জমিতে খেসাড়ী ডালের চাষ করতো তাহলে অল্প খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ার পাশাপাশি জমিতে জৈব পদার্থ যোগ হতো। তিনি বলেন, লবনাক্ততার কারণে যে সমস- জমিতে অন্য কোন ফসল রোপন করা সম্বাব হয় না। সেই সমস- জমিতে খেসাড়ী ডালের চাষ করলে জমির উবরতা শক্তি বৃদ্ধির পাবে। তিনি উপরোক্ত উপকারের জন্য খেসাড়ী ডালের চাষ করার জন্য সকল কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। ###

পি কে অলোক-০১৭১০-৩১৭৫৬৯।

Post a Comment

Previous Post Next Post