কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা বস্নকে ডিজিটালাইজড প্রযুক্তিতে বাড়ীর আঙ্গিনায় ভার্মি কম্পোষ্ট ও খামারজাত সার ব্যবহার করে শাক-সব্জি ও ফলের চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বকুল হোসেনের প্রচেষ্টায় কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এ সবজি ক্ষেত গড়ে উঠেছে। ওই বস্নকের সাওতা, কাঞ্চনপুর, শ্যামপুর, পাইকপাড়া, শিংদহ ও ইছাখালী গ্রামে শাক-সজবি, ফল ও মাঠ ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে এ সকল নিরাপদ সবজির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। এ ব্যাপারে কৃষক নাসির উদ্দিন, আশরাফুল ইসলাম, আলম হোসেন, রেশমা খাতুন, খালেদা আক্তার জানান, বাড়ীর আঙ্গিনায় পতিত জমিতে মুলা, টমেটো, গাজ, সিম, লাউ, বেগুন, শসা, কপিসহ বিভিন্ন সজবি চাষ করে উৎপাদন ব্যয় ছাড়াই প্রতি শতকে ৪ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বকুল হোসেন জানান, কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বাড়ীর আঙ্গিনায় সবজি চাষে পুষ্টির চাহিদার পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্ত আনায়নে সহায় ভূমিকা রেখেছে। এ ব্যাপারে কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু জানান, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা বস্নক ডিজিটাল কৃষি প্রযুক্তিতে যশোর অঞ্চলের সেরা। এ বস্নকের প্রতিটি কৃষকের বাড়ী আদর্শ খামারে পরিণত করা হবে। এ নিরাপদ ফসল আবাদের ফলে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরন হবে। অন্যদিকে জৈবসার ব্যবহারের ফলে মাটির উবর্রতা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।