গত কয়েক দিন যাবৎ শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। বেড়েছে লেনদেন ও সূচক। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। অথচ দেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি, যার ফলে শেয়ারবাজারের হঠাৎ উল্লম্ফনকে স্বাভাবিকভাবে দেখা যেতে পারে। কাজেই বাজার সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের আশঙ্কা সাম্প্রতিক এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে নতুন কোনো কারসাজি কাজ করতে পারে। তাই বিশ্লেষকগণ বিনিয়োগকারীদের প্রতি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বিনিয়োগকারীদের
জেনে-বুঝে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
অদূর অতীতের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারী আমাদের সংযত হওয়ার এবং শিক্ষা নেয়ার জন্য স্মরণযোগ্য। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, আজ পর্যন্ত সেই শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারীর কোনো তদন্ত জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়নি। হাজার হাজার বিনিয়োগকারী পথে বসলেও তার বিচার উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত দোষীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে সাধারণত অর্থ কেলেঙ্কারীর কোনো বিচার হয় না। রিজার্ভ চুরি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সুতরাং হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে ওঠা শেয়ারবাজারে হুজুগের মাথায় বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। শেয়ারবাজার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের স্থান। উদ্বৃত্ত অর্থ থাকলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য জেনে তবেই বিনিয়োগ করা যেতে পারে, শুধু উৎসাহের ওপর ঝুঁকি নিয়ে নয়।
পুনশ্চ ঃ যে কোনো কাজ করার আগে সে কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত। অর্থ বিনিয়োগের ব্যাপারে তা আরও উচ্চমাত্রায় স্থান দেয়া সমীচীন। লাভ-ক্ষতির হিসাব বুঝে তারপর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করুন।