বিশ্ব জাহানের সর্বময় ক্ষমতার মালিক একজনই। সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র প্রতাপশালী, ঐশ্বর্যবান। পৃথিবীজোড়া ধনভা-ার তাঁরই অধীন। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সাময়িক কার্যনির্বাহই প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। তাঁর মনোনয়ন অনুযায়ী আমরা যার যার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত, অধিষ্ঠিত। কাউকে পরিচালনা করা বা কারো প্রতি দয়া করার যোগ্যতা, শক্তি বা ক্ষমতা কারোরই নেই। সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র ক্ষমতাবান ও পরিচালক।
তাঁর ইশারায়ই কেউ ধনবান, শিল্পপতি; তাঁরই নির্দেশে কেউ গরিব, কেউ নিঃস্ব। একের অধীন যেমন অন্য, একের ওপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব দানকারীও তিনিই। একে অপরের মুখাপেক্ষী, পরিপূরক। এটা বিধির বিধান, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা।
এতেই সৃষ্টি জগতের কল্যাণ। তাই ক্ষমতাশালীর অহংবোধ যেমন বর্জনীয়। তেমনই অধীনস্তের গাফিলতি, ফাঁকিবাজি চরম ধৃষ্টতা।
আমাদের সমাজে কেউ কর্মকর্তা, কেউ কর্মচারী। কেউ বেতনদাতা, কেউ বেতনভোগী। যার যার স্থানে প্রত্যেকের দায়িত্ব পবিত্র এবং সম্মানের। তা নিষ্ঠার সাথে পালন করাই উত্তম। যার ওপরে যে দায়িত্ব ন্যস্ত তা পালনে ফাঁকি দেয়া মানবিক বৈকল্যের পরিচয়। আর কাজে ফাঁকি দিয়ে বেতন নেয়া ঈমানের বরখেলাপ। মনে রাখতে হবে, কাজে ফাঁকি দেয়া মানে যিনি বেতন দেন, তার কাছ থেকে টাকা পেয়ে আসল মালিকের সাথে বেঈমানি করা। আপনার ঊর্ধ্বতন আপনার ফাঁকিবাজি না দেখলেও আসল মালিক ঠিকই দেখছেন।
পুনশ্চ ঃ আমার মালিক যিনি, আপনার মালিকও তিনিই। তাই টাকার মালিকও সর্বজ্ঞ, সর্বদাতা, ঐশ্বর্যশালী মহান সৃষ্টিকর্তা। আমাদের বাহাদুরি নিতান্তই বোকামি!