মেহেরপুরে শীতে খেজুরের রস, গাছিদের আনন্দ ও শঙ্কা

 

KBDNEWS :শীতের সঙ্গে খেজুরের রসের নিবিড় সর্ম্পক। শীতের সকালে হিমেল বাতাসে খেজুর গাছের তলায় দাঁড়িয়ে গাছিদের মন ভরে যায় আনন্দে। তবে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন শীতকাল। মেহেরপুর জেলার ৩ উপজেলার গাছিরা ব্যসত্ম সময় পার করছেন। শীত শুরম্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছ কাটার প্রতিযোগিতা পড়ে যায় গাছিদের মধ্যে। রস সংগ্রহকারী গাছিদের প্রাণ ভরে উঠে আনন্দে। যদিও আগের মতো খেজুর গাছ না থাকায় এখন আর নেই সেই রমরমা অবস’া। এক সময় খেজুরের গুড় থেকে তৈরি হতো বাদামি চিনি। যার স্বাদ ও ঘ্রাণ ছিল ভিন্ন। গ্রামের মানুষের শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেত। রস থেকে তৈরি হতো নানা রকমের পিঠা পায়েস।
স’ানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার আগ্রাসনের কারণে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ইটভাটার মালিকরা ধ্বংস করে চলছে খেজুর গাছ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেহেরপুরে ইটভাটা আছে কমপক্ষে ৯৮টি। এতে কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও অধিকাংশ ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যেসবের মধ্যে খেজুর গাছ অন্যতম। স’ানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করায় প্রায় বিলুপ্তের পথে মেহেরপুরের ঐতিহ্যবাহী এ গাছ। ফলে এ জনপদের বহু মানুষ এখন খেজুরের রসের মজার মজার খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বন বিভাগ পদক্ষেপ না নিলে একটা সময় হয়ত খেজুর রস হারিয়ে যাবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post