মুহম্মদ মহসীন,মেহেরপুরঃ মেহেরপুর জেলা সদর পিরোজপুর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম বারাদী, হাসনাবাদ,পাটকেলপোতা এবং পাটাপোকা গ্রামে কয়েক’শ নার্সারী মালিক বিভিন্ন গাছের চারা ও কলম তৈরী করে তা বিক্রয়ের মাধ্যমে এরই মধ্যে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। এই সমসত্ম খামারীরা ১০ বছর আগেও ভুমিহীন ছিল। গ্রাম কয়টি ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে এদের কেউ কেউ ১০ থেকে ২০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে তাতে ফলজ, বনজ, ঔষধী ও ফুলের চারা তৈরী করে মোটা অংকের টাকা প্রতি মৌসুমে আয় করছেন। এখন ৪টি গ্রামের প্রতিটি বাড়ী থেকেই ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে থাকে। এদিকে প্রতি বছরের বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যনত্ম ফলজ ১৩ প্রকার আম, ৫ প্রকার লিচু সহ দেশী-বিদেশী পিয়ারা, আমড়া, কাজ্জি লেবু, জলপাই, টকমিস্টি তেতুল, বেদানা, কামরাঙ্গা, করমচা, মাল্টা, বাতাবি, নারকেল, সুপারী, সবেদা,বেল,কদবেল,চলতার চারা বিক্রয় করে থাকে। বনজ যেমন মেহগনি,সেগুন, চারা তৈরী করে থাকে। এছাড়াও ঔষধী আমলকি, নীম, জলপাই, হরতকি, অর্জুন, বয়রা, তেতুল, অর্জুনের চারা তৈরী করে থাকে এবং ফুল অংগন, গোলাপ বিভিন্ন জাতের পাতাবাহার, ডালিয়া বেলী, রজনীগন্ধা, টগর, শিউলি,বকুল, কামেনি, কৃষ্ণচুড়া গাজের চারা তৈরী করে বিক্রয় করে থাকে। এবিষয়ে এক অনুসন্ধানীতে জানাগেছে এসমসত্ম নার্সারী মালিকগনের প্রতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার চারা বিক্রয় করে থাকে দেশের বিভিন্ন স’ানের ব্যাপারী ও সাধারন মানুষের কাছে। এসব চারা খামারী মালিকরা মনে করেন সরকার যদি সহজ কিসিস্তিতে লোন দিত তাহলে গ্রামগুলোর প্রতিটি পরিবারই বিভিন্ন জাতের চারা বিক্রয় করে স্বাবলম্বী হয়ে যেত।