বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানান, গত শুক্রবার ফিলিপাইনের এএমএলসি’র কাছ থেকে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ নগদ এই অর্থ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ বিভাগের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে তিনি এ অর্থ গ্রহণ করেন। গৃহীত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে জমা করা হয়েছে। চুরি যাওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথের নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গত ৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি নামের বানান ভুলের কারণে শ্রীলংকায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ছাড় হয়নি। তবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাকাতি শাখায় যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রায় পুরোটাই ছাড় করা হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার চুরির ঘটনা। এ ঘটনা ফাঁসের পর বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে আর্থিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম সুইফট ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
বিভিন্ন পক্ষের তৎপরতায় ফিলিপাইনের সিনেটে কয়েক দফা শুনানি শেষে কিম অং তার আইনজীবীর মাধ্যমে ৪ দফায় এক কোটি ৫২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেন। এরপর দেশটির মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কাউন্সিলে (এএমএলসি) জমা হওয়া অর্থ পরে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়। এখন তা বাংলাদেশের অনুকূলে অবমুক্ত করতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আদেশ দেন দেশটির আঞ্চলিক বিচারিক আদালত।