kbdnews: মেহেরপুরে আবাদি জমিতে গন্ধক দস্তাk ও জৈব পদার্থের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে এখানকার জমির ফলন শতকরা ২০ভাগ থেকে ২৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। জমির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকরা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ ও মাটি বিশেষজ্ঞদের তথ্যে জানা যায়, মেহেরপুরের একই জমিতে উপর্যুপরি একই ফসলের চাষ ও সুষম সার ব্যবহারের পরিবর্তে নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সার অতিমাত্রায় প্রয়োগ করায় আবাদি মাটিতে জৈব পদার্থ ও দসত্মার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মাটি বিশেষজ্ঞদের মতে মাটিতে জৈব পদার্থ গন্ধক ও দসত্মার ঘাটতি জনিত কারনে শস্যের ফলন শতকরা ২০-২৫ ভাগ হ্রাস পেতে পারে।
গন্ধক বা সালফারের ঘাটতিযুক্ত জমি ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এমতাবসত্মায় কৃষকদের দুর্ভাবনা বেড়েছে। জেলার সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার আবাদি জমিতে গন্ধক ও দসত্মার ঘাটতি ধরা পড়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা কৃষি বিভাগের সহায়তায় গন্ধক ও দসত্মার ঘাটতি পূরনে পদড়্গেপ নিয়েছে। সূত্রটি আরো জানায়, গাছ বা শস্যের অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি পুষ্টি উপাদনের মধ্যে ১৪টি উপাদান মাটি থেকে গাছ গ্রহন করে। কিনত্ম মাটিতে শস্যের চাহিদামত পুষ্টি উপাদানের অভাব হলে গাছ অপুষ্টিতে ভোগে এবং ফলন কম হয়।
আর মাটিতে ভৌত রাসায়নিক ও জৈবিক গুনাবলী ফসল উৎপাদনের উপযোগী হলে শস্যের ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মেহেরপুর জেলায় ভুমি রয়েছে ৭০হাজার ৮৭৫ হেক্টর। এর মধ্যে ফসলি জমি ৫৬ হাজার ৬৬ হেক্টর। এসব জমির অধিকাংশ এলাকায় গন্ধক ও দসত্মার ঘাটতি হওয়ায় জমির উর্বরা শক্তি কমে গেছে। এতে চাষীরা জমিতে অধিক ফলন ফলতে বিকল্প ব্যবস’া গ্রহন করেছে। বস্নক এলাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে আবাদি জমিতে পরিমান মত সার প্রয়োগ করে ফসল উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।