কেবিডিনিউজ :ইদানিং মেহেরপুরে কৃষিকাজে এগিয়ে আসছে নারীরা। তারা পুরম্ষের সংগে সমানতালে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এসমসত্ম নারীরা মনে করে অভাবের চিতায় আজীবন না জ্বলে বাসত্মবতাকে স্বীকার করে শ্রমজীবির কাজ করে অর্থ আয়ের চাকায় একটু ধাক্কা দিতে। আর আদিম সভ্যতার হাত ধরেই আজকের কৃষি সভ্যতা সেহেতু পুরম্ষকেন্দ্রিক কৃষিকাজ সেই হিসাবটা ভুল। এমন প্রমান করতে এবং দারিদ্রতাকে দুর করতে মেহেরপুরের নারীরা কৃষিভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন। নারীরা বুঝতে শিখেছে তাদের হাত দুটি শুধু চুড়িপরা অথবা রান্না কাজের জন্যই নয়। তাদের হাত দিয়েই সংসারে ফিরবে সুখ, হাসির হলস্নড়। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে কৃষিতে নারীর প্রতি বিরাজমান সবরকম বৈষম্য দুরীকরণ ও নারীর অবদানের স্বীকৃতি স্বরপ জাতিসংঘের খাদ্য কৃষি সংস’া বিশ্বখাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য হিসাবে বেছে নিয়েছিল। এবং শেস্নাগানে এসেছিল অন্ন জোগায় নারী। মেহেরপুরে কৃষিকাজে যেমন নারীদের সম্পুক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তেমনি ইমারত নির্মাণ, বিভিন্ন ফ্যাক্টরী, তামাক গ্রেডিং, এনজিও, বিভিন্ন সমিতির আসবাবপত্র বিক্রয় সহ অনেক রকম কাজে কাজ করে যাচ্ছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নারীদের আত্মহত্যা গড় সংখ্যা অনেকটা নিম্নে নেমে গেছে। এরই মধ্যে মেহেরপুর জেলাতে অসংখ্য নারী হাঁস,মুরগী,ছাগল, কবুতর পালন করে ও বাড়ীর আঙ্গিনায় কৃষিকাজ করে স্বাবলম্বী হয়ে গেছে। মেহেরপুরের শ্রমজীবি নারীরা মনে করেন তাদের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে বলেই শ্রমের মজুরী দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে মেহেরপুরের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন মেহেরপুর জেলাতে সাড়ে ৩ লড়্গ নারীর ৭ লড়্গ হাতকে সম্মানজনকভাবে কাজে লাগাতে পারলে উন্নয়ণ আর সমৃদ্ধিতে মেহেরপুর এগিয়ে যাবে। সেখানে থাকবে না নারীর প্রতি বৈষম্য আর অবহেলা। এবং কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। জিডিপিতে কৃষির অবদানও বাড়বে।