স্টাফরিপোটার॥ আজ বুধবার থেকে আগামী ২ নভেম্বর পযর্ত্ম ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মধ্য দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে এই সিদ্ধানত্ম নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মেহেরপুর জেলায় মৎস্য অফিসের মনিটরিংয়ের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নামছে। গত কয়েক বছর ইলিশের প্রজনন মওসূমে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ১৯৯১ সালের পর থেকে এবারই দেশে ইলিশের সর্বোচ্চ ইলিশ আহরণ হয়েছে বলে জানায় মৎস্য অফিস।
চলতি মৌসূমে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলায়ও ইলিশের ছড়াছড়ি ছিল। অনেকটাই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই ছিল সবার প্রিয় জাতীয় মাছ ইলিশ। মেহেরপুর জেলা শহর, মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ, দারিয়াপুর, সদর উপজেলার আমঝুপি, বারাদী, গাংনী, বামন্দী, গাড়োডোব, বাঁশবাড়ীয়া, জোড়পুকুরিয়া, বাওট ও কাজিপুর বাজারসহ ছোটখাটো বাজারেও এবার ইলিশ বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাই বুধবার থেকে এসব হাট-বাজারে নজরদারি করবে মৎস্য অফিস ও প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত কয়েকদিন ধরে মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। ২ নভেম্বরের মধ্যে যদি কেউ ইলিশ কেনাবেচা করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেয়া হবে বলে জানান গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান।
এদিকে নজরদারির পাশাপাশি ঘোষিত সময়ের মধ্যে ইলিশ রক্ষায় প্রচারণা চালাবে জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিস। গাংনী উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কালাম জানান, আজ বুধবার থেকে প্রচারণা আরো বৃদ্ধি করা হবে। ইলিশ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিক্রি করবে না বলে আশ্বস’ করেছেন। এ ব্যাপারে তাদের ব্যাপক সাড়া রয়েছে। তবে এর পরেও যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী কিংবা ক্রেতা কেনাবেচা করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হবে। জাতীয় এই সম্পদ রক্ষায় জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছে জেলা মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের ২৭টি জেলায় ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে। জেলাগুলো হলো- চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিতরণ, কেনাবেচা ও মজুদ স’গিত থাকবে। এসময় মাছের আড়ৎ, হাটবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।