৫২ লাখ জাল টাকাসহ আটক ৮

রাজধানীতে জাল টাকার কারখানা

jaltaka

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পল্টন ও কোতোয়ালি এলাকা থেকে ৫২ লাখ জাল টাকা, ৮ হাজার ভারতীয় রুপি ও জালনোট তৈরির সরঞ্জামসহ ৮ জনকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আটকরা হলেন-মো. রেজাউল ইসলাম ওরফে মুন্না (২৬), মো. আব্দুল কাদের ওরফে অপু (২৮), মো. লতিফ (২৫), মো. ফজর আলী (২৯), মো. মহরম মিয়া (৩৮), মোছা. সুমি বেগম (২০), মো. আ. বারেক (২৫) ও মো. সাদ্দাম (২৩)। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে তারা তাদের প্রস্তুত করা জালনোট বাজারজাত করে থাকে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার পশুর হাট সামনে রেখে তারা জালনোট প্রস্তুত ও মজুদ করছিল।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম জানান, প্রথমে পল্টন এলাকা থেকে সাদ্দাম, বারেক, সুমি বেগম, মহরম মিয়াকে আটক করা হয়। তারপর তাদের দেহ তল্লাশি করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাংলাদেশি জালনোট, আট হাজার ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কোতোয়ালি এলাকা থেকে জালিয়াত চক্রের মূল হোতা রেজাউল ইসলামসহ কাদের, লতিফ ও ফজর আলীকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল নামে একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, তারা পেশাদার জালটাকা প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতা। প্রায় ৭-৮ বছর ধরে চক্রটি ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরা বাংলাদেশি জালনোটসহ বিভিন্ন দেশের ডলার, রুপি তৈরি করে আসছিল। এসব জাল নোট ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছে। জালনোট প্রস্তুত হতে খুচরা পর্যায়ে বিতরণ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন স্তর অবলম্বন করে এবং প্রতিটি স্তরেই রয়েছে মহিলা সদস্যসহ একাধিক সিন্ডিকেট। জালনোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, ১৫টি কার্টিজ, ৪টি প্লাস্টিকের ছোট জার, ৪টি কাঠের তৈরি ফ্রেম, সাদা পেপার ৪৫০ পিস জব্দ করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post