স্টাফরিপোটার: ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’-এইস্লোস্নাগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে পাবে। দেশের প্রায় ৫০ লাখ পরিবারকে এই সুবিধা দেয়া হবে। একই সাথে ৩ কেজি করে ডাল দেবে সরকার। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।
এ ছাড়া এখন থেকে টিআর ও কাবিখায় খাদ্যশষ্যের পরিবর্তে টাকা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য জানান।
কামরুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
আগামী মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর-এই পাঁচ মাস হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবার এই চাল পাবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, কর্মসূচির আওতায় বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি আছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তারাই হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে তাদের কার্ড দেবেন। নীতিমালা অনুযায়ী তাদের চাল দেয়া হবে। তবে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্তরা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।
বর্তমানে বাজারে মোটা চাল ৩৬ টাকা দরে এবং চিকন চাল ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে একই মানসম্পন্ন চাল ১০ টাকা কেজি দরে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। গত বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় সুলভ মূল্য কার্ডের মাধ্যমে ১১ লাখ পরিবারের মধ্যে মাসে ২০ কেজি করে ১৫ টাকা দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করেছে। তবে এবারই প্রথম ১০ টাকা দরে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সুলভ মূল্যে খাদ্য বিক্রির জন্য চলতি অর্থবছরে খাদ্য নিরাপত্তায় অর্থমন্ত্রণালয় ১৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে।
সরকার ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচনে মানদ- বেঁধে দিয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে-সুবিধাভোগী পরিবারকে ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের অধিকারী হতে হবে। নারী প্রধান (বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত/স্বামী পরিত্যক্তা) এবং যে পরিবারে দুস্থ শিশু রয়েছে, সেই পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। তবে একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তিকে কোনোভাবেই তালিকাভুক্ত করা যাবে না।