আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সরকারী নিয়মনীতি ও নির্দেশ না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরম্নদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ,অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়নে কৃষকদের নানাভাবে প্রশিড়্গণ দেয়া হলেও চাষীদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি কৃষি কর্মকর্তারা।ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কাজ হচ্ছে না।কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অধিক ফলনের জন্য রোপা আমন ধান রোপনের ড়্গেত্রে সারিবদ্ধ ভাবে ধান রোপন করার কথা বলা হলেও এবছর কোন চাষীরাই সারিবদ্ধভাবে ধান রোপন করেনি।বিশেষ করে প্রদর্শনী পস্নটের চাষীরাও সারিবদ্ধভাবে ধান রোপন করেনি।এমনিভাবে চলতি মৌসুমে সোনালী আঁশ পাট জাগ দেয়ার ড়্গেত্রে কাঁদামাটি ব্যবহার না করে পাটের জাগের উপর পলিথিন ব্যবহার করে কাঁদামাটি বা কলার গাছ দিয়ে চাপা দেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকলেও অফিসের তদারকির অভাবে কেউ সেই নিয়ম মানছে না। উপজেলার সবখানেই বিশেষ করে প্রধান সড়কের দুপাশে কাঁদামাটি দিয়ে পাট জাগ দিতে দেখা গেছে।
এব্যাপারে হিন্দা গ্রামের বড় পাটচাষী মনিরম্নজ্জামান ও শিশিরপাড়া গ্রামের আঃ সাত্ত্ার জানায়, পাট জাগ দেয়ার এই পরামর্শ বা প্রযুক্তি আমাকে কোন অফিসার বা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দেননি।
এছাড়াও কৃষি অফিসের মনিটরিংএর অভাবে প্রদর্শনী পস্নট বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি বিতর্কিত হয়ে পড়েছে।উপজেলার অনেকে নিজেকে চাষী পরিচয় দিয়ে অফিসারকে ম্যানেজ করে ভূয়া প্রদর্শনী পস্নটের বিপরীতে সরকারী ভাবে প্রদানকৃত বীজ, সার, পরিচর্যা ব্যয়সহ নানা উপকরণ গ্রহণ করলেও তা পকেটঁস’ করেছে।সরেজমিনে ঘুরে অনেক প্রদর্শনী পস্নটের অসিত্মসত্ম পাওয়া যায়নি। মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্রযুক্তি গ্রাম গড়ে তোলার প্রকল্প বাসত্মবায়ন করতে বিভিন্ন শ্াক-সবজি বা ফল-মূল বাগান গড়ে তুলতে সংরড়্গণ বেষ্টনী বা বেড়া দেয়ার কথা থাকলেও বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় না করে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে করা হয়।ফলে দুই-এক মাস পরেই তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।যে কারণে সরকারী উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এবছর এ উপজেলাতে ১ হাজার ৫শ’হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।লড়্গ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার রইচউদ্দীন এর সাথে এসবের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান,এবছর লড়্গ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে পাট চাষ হয়েছে।এ মৌসুমে বর্ষা কালে খালে- বিলে, ডোবা- নালায় পর্যাপ্ত পানি না হওয়ায় কৃষকরা তাদের পাট জাগ দিতে হিমসিম খাচ্ছে। পাট মৌসুমের প্রথম দিকে কিছুটা দাম ভাল পাওয়ায় চাষীরা আগাম পাট কেটে জাগ দিচ্ছে। বর্তমানে পাটের বাজার দর ১৫ শ’ টাকা থেকে ১৭ শ’টাকা। ধান লাগানো ও পাট জাগ দেয়ার বিষয়টি সবেমাত্র শুরম্ন হয়েছে। চাষীরা সবাই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন না ।পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি অনেক প্রশ্নের সদুত্ত্বর না দিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।