আমিরম্নল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস’্যকমপেস্নক্সের নতুন ভবন নির্মান কাজে ব্যাপক পুকুর চুরি সহ সিডিউল বহির্ভুত কাজ হচ্ছে বলে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে গাংনী বাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খিত স্বাস’্য কমপেস্নক্স ভবন। সে ভবন যেন কারো মৃত্যুর কারন না হয়ে ওঠে এমন প্রত্যাশা উপজেলা বাসীর। কুষ্টিয়া মিরপুরের জাকাউলস্নাহ এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ বাসত্মবায়ন করছেন কচ্ছপ গতিতে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা কাজ পুণরায় বাসত্মবায়িত হতে দেখে উপজেলা বাাসি নতুন আশায় বুক বাঁধলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্বাস’্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের যোগসাজসে এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি। অনেকের মাঝে চাপা ড়্গোভ বিরাজ করলেও মুখ খুলছেন না কেউ। একটি পাঁচ তলা,একটি তিন তলা,দু’টি ২য় তলা ভবন সহ চিলিকোঠা পানির ট্যাঙক নির্মান করা হবে। এ সকল কাজে নিম্ন মানের ইট,কম মুল্যের সিমেন্ট নিম্ন মানের বালি সহ বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার করে এ কাজ চলছেই। দেখার কেউ নেই । মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার ভয়ে কেউ এ পুকুরচুরির প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। জেলা স্বাস’্য প্রকৌশলী এ কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও তিনি আসেন অনিয়মিত ও মাঝে মধ্যে। কোন ব্যক্তি কাজের সিডিউল দেখতে চাইলে তাদেরকে হুমকি ধামকি দেয়া হয় বলে জানান স’ানীয়রা। কুতুবউদ্দীন নামের এক ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সকলেই জানেন কুতুব উদ্দীন সরকারি লোক, আসলে তিনি ঠিকাদারের নিয়োগকৃত লোক। স্বাস’্য প্রকৌশলীর জোগসাজসে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে বলে অভিযোগ করেন স’ানীয়রা। নিম্ন মানের ইট,ও কম মুল্যের সিমেন্ট নিম্ন গ্রেডের রড দিয়ে ভবন নির্মান হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন স’ানীয় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বুলু মন্ডল। যেখানে ২৫ মিঃমিঃ রড ব্যবহার করার কথা সেখানে ব্যবহৃত হয়েছে ২০ মিঃমিঃ রড। ঢাঁলাই কাজে যতটুকু দুরত্বে খাঁচি বাঁধা হয় সেখানেও ফাঁকি দেয়া হয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে তার বাসত্মবতা। নিম্ন মানের ইট আর একেবারেই কম মুল্যের সিমেন্ট দিয়ে নির্মান কাজ করছে নির্মান শ্রমিকরা। কাজের শুরম্ন থেকে এ পর্যনত্ম যতটুকু কাজ বাসত্মবায়িত হয়েছে তা খতিয়ে দেখেনি কেউ। মুল ভবনের ছাঁদ ঢাঁলাইয়ের কাজে রড দিয়েছে নাকি বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঢালাই কাজ করা হয়েছে এ নিয়ে কথা বলেন, গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন। গাংনী পৌরসভার বাজেট অধিবেশনে তিনি এক বক্তব্যে বলেন, গাংনীর মানুষকে ফাঁকি দিয়ে স্বাস’্য কমপেস্নক্সের নতুন ভবন নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। দেখার কেউ নেই। ঢালাই কাজে রড দিয়েছে নাকি বাঁশের কঞ্চি দিয়েছে তা ড়্গতিয়ে দেখা উচিৎ। কারন এ কাজের দেখভালের যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি ঠিকাদারের সাথে দফারফা করে কাজ করছেন। সচেতন মানুষকেই এ কাজ দেখে নিতে হবে। গাংনী বাসির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ই জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন সহ তার একটি টিম এ কাজ পরিদর্শন করেন। গাংনী উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সের কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৬ সদস্যে’র একটি কমিটি করেন । এই কমিটি এ কাজ দেখভাল করবেন। স্বাস’্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ হালিম জানান, আমি যা দেখেছি তার মধ্যে কিছু ইট রেইন স্পট, নিম্নমানের সিমেন্ট কমমুল্যের । তবে কি সিমেন্ট দিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে তা আমাদের জানানেই। কাজ
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ক্সেলের নতুন ভবন নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ- দেখার কেউ নেই।
byWeb Master
•
0