মুহম্মদ মহসীন,মেহেরপুরঃ যাদের অর্থে দেশ চলে, তারাই বিভিন্ন ড়্গেত্রে অবাঞ্চিত ও অনাকাংখিত হয়। তাদের মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধান আর আইনী বইয়ে যেন সীমাবদ্ধ। জনতার রক্তে ঘামে বৈদেশিক সংস’ার হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন শোধ হয়ে থাকে। অথচ সেই জনতা যুগে যুগে রাষ্ট্রের কাছে থেকে না পাওয়ার মিছিলে অসহায়ত্ববোধ করে। এভাবেই যেন আমলাতান্ত্রিক আর রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের এক্কা দুক্কা খেলায় কষ্টের ইটপাথরের ইতিহাসের বিষয়বস’ হয় এই জনতা। প্রিয় পাঠক মেহেরপুর জেলার মানুষের হাজারো কথা তুলে ধরতে পত্রিকাটি ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করছে “এই আমাদের মেহেরপুর এই আমাদের শ্রম অধিকার” রক্তেভেজা ঘামের মুল্য কত, যারা জেনেও মানে না তারা অভিশপ্ত। ১২৮ বছর আগে সেই শ্রমজীবিদের দাবীগুলো এই বিংশ শতাব্দিতে কতটাই বা হয়েছে বাসত্মবায়ন। শুধু ১লা মে কি মিছিল, জনসভা আর বক্তব্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ? এভাবেই কি দাবী বাসত্মবায়িত হবে। মেহেরপুরে বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ঢাকা টোব্যাকো, আবুল খায়ের টোব্যাকোর হাজার হাজার শ্রমজীবিদের। কেন ঐ হরিজন সম্প্রদায় শ্রমিকদের এবং গৃহকর্মী, হোটেল রেসেত্মারার নারী শিশু কিশোর কর্মী অথবা ওয়েলডিং শ্রমিক,মোটরযান শ্রমিক, ওয়ার্কসপ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, পথশিশু শ্রমিক, হতদরিদ্র শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে রাষ্ট্রের ভাগ্য বিধাতারা সত্যিকারের রাজনীতি করে না। এই মেহেরপুরে শুধু মে দিবসকে নিয়ে একশ্রেনীর শ্রমিক নেতারা ট্রেড ইউনিয়নের দোহায় দিয়ে সুবিধা নিয়েই চলেছে। গড়েছেন তারা আলিশান বাড়ী, হয়েছেন মহাজন, বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের একাধিক একাউন্ট তবুও তারা শ্রমিকরে নেতা সেজে হাজারো শ্রমিকদের অর্থহীন ও মেরম্নদন্ডহীন করে রাখার পাঁয়তারা করেই যাচ্ছে। অন্যদিকে মেহেরপুর জেলাতে প্রতিদিনই বাড়ছে শিশু ও নারী শ্রমিক এই সমসত্ম শ্রমিকদের জীবন জিবিকার পরিবর্তনে শ্রমিক সংগঠনগুলো কখনোই কি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, হয়েছি কি তাদের দাবীর পড়্গে হরতাল,অবরোধ,মিছিল এবং মিটিং। বিভিন্ন সেবা সংস’া ও মানবাধিকার সংস’া শ্রমিকদের ন্যয্য অধিকারে দাতা সংস’া থেকে কোটি কোটি টাকা যে উন্নয়নের দারপ্রানেত্ম নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তা কি পেরেছে ? মেহেরপুরের শ্রমজীবিরা যুগে যুগে নিস্পেষিত হচ্ছে তাদের অধিকারগুলো বিপর্যয়ের মধ্যে নিপতিত হচ্ছে অমানবিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তবুও মানবতা প্রসত্মর পাহাড়ের মত হাজারো দায় এড়িয়ে দাড়িয়ে থাকে এই সমাজ ও রাষ্ট্রে। শ্রমজীবিদের অধিকার হরনের দেশে ১লা মে কেন আসে, কাদের জন্য আসে এমন সব প্রশ্ন দীর্ঘায়িত হলেও উত্তর মিলবে না। কেননা যারা শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তনে সুখের গল্প বলে তারা তোমাকে আমাকে কৃত্রিম সংকটে ঋণগ্রস’ করে রেখেছে সেই স্বাধীনতার পর থেকে আজো। যার জন্যই রাজনীতি আর আমলাতান্ত্রিক আমাদের ভাগ্য দেবতাকে বারবার গ্রাস করে। শেষে এ কথায় বলতে হয় মে দিবস তুমি কি ধনীর পাহারাদার নাকি গরীবের রক্ত চোষা কোন অবাঞ্চিত জানোয়ার।