রাজশাহী থেকে নাজিম হাসান : গ্রীষ্ম মৌসুমের রসালো সুস্বাদু মধু মাসের সেরা ফল আম। আর আমের রাজধানী বলে পরিচিত রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের হাট-বাজার। পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে বানেশ্বরের হাট-বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও আমের বাজার জমে উঠেছে। রাজশাহী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার আম চাষিরা শনি ও মঙ্গলবার হাটবারে আম বিক্রয়ের জন্য বানেশ্বর বাজারে আম নিয়ে উপস্থিত হন। আর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ক্রেতারা এ বাজারে আম কেনার জন্য ভিড় জমান। চলতি বছর প্রশাসনের নজরদারির কারণে ব্যবসায়ীরা ফরমালিনমুক্ত আম বিক্রীয় করছে। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম কিছু কম। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, গোপালভোগ আম প্রতি মন ২ হাজার থেকে ২১শ টাকা, আঁটি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা, নেংড়া ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা, লোকনা ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা, রানি প্রসাদ ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা, খিড়সা ১৭শ থেকে ২২শ টাকা ও কালুয়া জাতের আম ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চারঘাট উপজেলার হলদাগাছী এলাকার আম বিক্রেতা আজিবুর রহমান জানান, নেংড়া আম গত বছর ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, এবছর ১৩ শত থেকে ১৪ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। আম ব্যবসায়ী আ. খালেক বলেন, এখন যে দামে আম ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে, সে দামের তুলনায় রোজার মধ্যে দাম আরো কমে যাবে। এক আম ব্যবসায়ী বললেন, আমাদের নিজের বাগানের আমে তো আর লস নেই, আম চাষে যে খরচ হয়েছে সেই দরেই বিক্রি করব। তবে যারা বাগান কিনেছেন তারা বুঝুক। কুরবান নামে এক আড়ৎ ব্যবসায়ী বললেন, এ এলাকার প্রচলিত নিয়মে ৪৫/৪৬ কেজিতে এক মণ, এ নিয়মে আম ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসার মনজুর রহমান জানান, চলতি বছরে আমাদের উপজেলায় সাড়ে ৭শ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গতবছর আমের ফলন ভালো হয়েছিল। সেই তুলনায় চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে।