KBDNEWS,মেহেরপুরঃ ইতিহাস ঐতিহ্যের ২শ বছরের মেহেরপুরকে রাষ্ট্র কি পেরেছে যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করতে। অন্যদিকে স’ানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা জেলাটিকে ইকো পর্যটন কেন্দ্রের দাবীতে কখনো কি দুটি কথা বলেছেন সময় ও যুগের সাতকাহনে। এটি সেই মেহেরপুর যেখানে স্বাধীনতার প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল। সুতরাং আধুনিক স্বপ্নের মেহেরপুর গড়তে হলে ঐতিহাসিক ইকো পর্যটন কেন্দ্র সেটা সময় ও সুুন্দরের একমাত্র দাবী। বিশ্ব সভ্যতার কাছে মেহেরপুর জেলাটি একটি অহংকারের বিষয়বস’। এই জেলাটিতে আছে ভৈরব,কাজলা, সেউটি ও মাথাভাঙ্গা সহ চারটি নদী। ১শ ৪৭ বছরের একটি পৌরসভা, শত বছরের স্বনামধন্য বলস্নভপুর মিশন হাসপাতাল, আছে ২শ বিঘার উপরে ইংরেজদের স্বাড়্গী আমঝুপী নীলকুঠি ও ১শ ৪০ বিঘা জমির উপরে গাংনী ভাট পাড়ার নীলকুঠি। ১শ বিঘা জমির উপরে সৃষ্টি হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কমপেস্নক্স। তারই পাশে রয়েছে ১১১৭টি আম গাছের বাগান। আরো আছে অহংকার করার মত ১৫শ বিঘার উপরে চিৎলা ফার্ম, আছে ৩শ বিঘার উপরে বারাদি হটিকালচার ফার্ম, এছাড়াও আমঝুপীতে আরো রয়েছে সবজি-বীজ,ডাল,তেল,কন্টাক্টগ্রোজ ফার্ম। জেলাটিতে ১৭ থেকে ১৮ শতাব্দীর একাধিক জমিদার বাড়ীর ভগনাংশ রয়েছে, আছে খৃষ্টান সম্প্রদায়ের কয়েকটি চার্চ, ২০টির অধিক রয়েছে মট। এই সেই ঐতিহাসিক মেহেরপুর যেখানে আজো রয়েছে হাজারও মুক্তিযোদ্ধার কবর,আছে বাহান্নের ভাষা সৈনিক আরো রয়েছে জাতীয় ও আনত্মর্জাতিক পর্যায়ে কৃতি সনত্মান যারা মেহেরপুরের মুখ উজ্জল করেছেন হাজারো বার। এখানে সৃষ্টি হয় বিশ্বসেরা আম, পৃথিবীখ্যাত সাবিত্রী, বস্নাক বেঙ্গল ছাগল, উৎপাদিত হয় সবজি বীজ। জেলাটি পলাশী যুদ্ধের এক কালস্বাড়্গী। জেলাটিতে এক সময় তাতশিল্প,মৃৎশিল্প ও বেতশিল্পের রয়েছিল যথেষ্ট সুনাম। অন্যদিকে মেহেরপুর জেলাটি বন্ধু প্রতিম এলাকা হিসাবে অনেক আগেই সুনাম অর্জন করেছে। তাই এখানে মুসলিম,হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ,হরিজন সম্প্রদায়,কোল ও হারি সম্প্রদায় বসবাস করে থাকে। সেহেতু মেহেরপুর তার অধিকার থেকেই ঐতিহাসিক ইকো পর্যটন কেন্দ্র এর দাবী করতেই পারে। (চলবে)