গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় বাজারে আমদানী কম তাই দাম বেশী ॥
আমিরম্নল ইসলাম অল্ডাম গাংনী :। মধুমাস। মধুমাসের আর একটি রসালো ফলের নাম জাম।এই জাম ফল কম-বেশী সকলেই চেনে। ‘পাকা জামের মধুর রসে রঙ্গিন করি মুখ’ এই ছড়ার মত জামের রস আর মামার বাড়ীতে পাওয়া যায় না।মাঠে ঘাটে যত্রতত্র জাম গাছ দেখা যেত। এখন আর সে ভাবে জাম গাছ দেখা যায় না। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ড়্গুদে, হাইড়ি ও কোরিয়ান জামসহ আরও কয়েক রকমের জাম পাওয়া যায়,তবে এঁটা বাণিজ্যিকভাবে। এবছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় সব গাছে পর্যাপ্ত জাম না ধরায় এবং গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় বাজারে বেশী জাম আমদানী হচ্ছে না। ফলে চড়া দামে জাম বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার গাংনী, বামন্দী বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে,কোরিয়ান ও হাইড়ি জাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ড়্গুদে জাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
গাংনী ও বামন্দী বাজারের জাম বিক্রেতা মহাম্মদপুরের মাসুদ,তেরাইলের শরিফুল,শাহীন,আব্বাস,লাল্টু, ইউনুছ আলী,বানিয়াপুরের জাহাঙ্গীর ও তরিকুল ইসলাম জানান, গাংনী ইপজেলার সব গ্রামে জাম নেই।গাছ মালিকদের নিকট থেকে আমরা ১০ টাকা কেজি ক্রয় করে আমরা বাজারে ৫০ -৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি। কারন আমরা জাম গাছ থেকে জীবনের ঝুকি নিয়ে জাম পেড়ে বাজারে বিক্রি করি। জাম গাছের ডাল খুব নরম তাই যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে হাত-পা ভেঙ্গে যেতে পারে এমনকি মৃত্যুও হতে পারে ।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাতে গোনা কয়েকটি গ্রামে যেমন বানিয়াপুকুর ,জুগিরগোফা,বালিয়াঘাট,কাজীপুর,মহাম্মদপুরে জাম গাছ থাকলেও বেশীর ভাগ গ্রামে কোন জাম গাছ নেই। আম কাঁঠাল লিচু, পেঁয়ারা কলা ইত্যাদি ফলের বাগান পরিচর্যা করলেও জাম গাছ কেই লাগাই না বা পরিচর্যাও করে না। জমির আইলে বা বনে-জঙ্গলে এমনিতেই জাম গাছ হয়ে থাকে।বর্তমানে কোন কোন অঞ্চলে জাম চাষ বাণিজ্যিকভাবে হলেও গাংনীতে তা হয়নি।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার প্রতিটি বসত বাড়িতেই জামগাছ লাগানোর জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দিন দিন জাম বাগানের জমির পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে গংনীতে। এমনি তথ্য জনিয়েছে গাংনী কৃষি অফিস।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জামের ফলন কম বলে জানিয়েছেন এষানকার লোকজন।
গাংনী কৃষি অফিস জানিয়েছেন, ফুল ও মুকুল আসার সময় ঝড় বৃষ্টি হওয়ার কারণে জাম ফল পর্যাপ্ত হয়নি। জাম ফলের চাহিদা মেটাতে কোরিয়ান জাম আমদানী করা হচ্ছে। উপজেলার ১৪৪ গ্রামে সব মিলিয়ে ৩ হাজার জাম গাছ রয়েছে।
গাংনী উপজেলা উদ্ভিদ সংরড়্গণ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান জানান, জাম ফলে প্রচুর আইরণ থাকে এবং প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। জামগাছ মালিকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ছত্রাক দমন ও সংরড়্গণে করণীয় বিষয়ে প্রশিড়্গণ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে ব্যবসায়িদেরকে কোন ক্যামিকেল না মেশানোর পরামর্শ দেয়া হয়।