kbdnews রাজধানীতে এখনও জমে উঠেনি ঈদের কেনাকাটা। তবে মার্কেটে আসতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। যদিও এদের বেশিরভাগই নারী। আর এই নারীদের বেশি আগ্রহ দেশি পোশাকের প্রতি। অন্যাদিকে বিক্রেতারাও জানিয়েছেন মান বিবেচনায় দেশি পোশাকের দামও তুলনামূলক কম। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের নারী-পুরুষ নিজেদের সামর্থ্যের কথা বিবেচনা করে দেশি পোশাকের দিকে তাদের ঝোঁক বেশি।
বছরের প্রায় সময়ই পোশাক কেনাকাটা করে থাকেন নগরবাসী। তবে এই সময়ে এসব কেনাকাটায় মনোযোগটা একটু বেড়ে যায়। পছন্দ মতো পোশাকের খোঁজে এ দোকান-ও দোকানে ঘোরাঘুরিও হয় অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ঈদের এখনো বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে উৎসবের আমেজে মার্কেটে আসতে শুরু করেছেন নারী ক্রেতাদের একটি বড় অংশ। আর পছন্দ তালিকায় তারা শীর্ষে রাখছেন দেশীয় পোশাক, যা আরামদায়ক ও দামেও তুলনামূলক কম।
তবে এই দাম নিয়ে ক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটায় দামের চেয়ে পছন্দকে অনেকটাই প্রাধান্য দেন ক্রেতারা। আর ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়েছেন সারারা, গাউন, থ্রি-পিস আর হাতে কাজ করা সালোয়ার কামিজ দিয়ে। অনেকেই আবার আসছেন পছন্দ মতো পোশাকের সৌন্দর্য বাড়াতে লেস-ফিতার দোকানেও। তাদের প্রত্যাশা, একটু যেন আলাদা হয় নিজেদের পোশাকটা অন্যদের পোশাক থেকে।
বিক্রেতারা আরো জানিয়েছেন, দশ রমজানের পর বিক্রি জমে উঠবে। কারণ এসময় ঈদের কেনাকাটা সেরে রাখতেই নারীদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ শেষ দিকে ব্যবসা জমজমাট হলেও যারা রাজধানীতে বসবাস করেন তাদের একটি বড় অংশ আবার গ্রামে চলে যান ঈদ উৎসব উদযাপন করতে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রমজানের মাঝামাঝিতে ঈদ কেনাকাটা পুরোপুরি জমে উঠবে।