খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অংকের উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে এপ্রিল ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত।
অনুমোদিত এ প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোসমূহের মধ্যে রয়েছে- ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ঊর্ধ্বমুখী (৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা) সম্প্রসারণ, ২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ছাত্রী হলের পার্শ্বমুখী (১ম-৬ষ্ঠ তলা) ও ঊর্ধ্বমুখী (৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা) সম্প্রসারণ, ৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে চতুর্থ একাডেমিক ভবন নির্মাণ (১০ তলা ভিতে ১০ তলা), ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন নির্মাণ (১১ তলা ভিতে ১১ তলা), ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) ভবন নির্মাণ (৬ তলা ভিতে ৬ তলা), ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে গেস্ট হাউজ, ডরমিটরী কাম ক্লাব এর (পার্শ্বমুখী, ১ম-৪র্থ তলা ও ঊর্ধ্বমুখী ৩য় ও ৪র্থ তলা) সম্প্রসারণ, ২৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন ভবন এবং অডিটরিয়াম নির্মাণ (৬ তলা ভিতে ২ তলা), ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে মেডিকেল সেন্টার নির্মাণ (৪ তলা ভিতে ২য় তলা), ৪ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে জিমনেসিয়াম নির্মাণ, ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণ, ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রশাসনিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী (৩য় ও ৪র্থ তলা) সম্প্রসারণ, ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে আসবাবপত্র ক্রয়, ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ক্যাম্পাসের বাউন্ডারি ও ওয়াল নির্মাণ, ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ক্যাম্পাসে ড্রেনেজ নির্মাণ। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত স্বল্পতা থাকবে না এবং আরও নতুন নতুন ডিসিপ্লিন খোলা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ৪ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে ২০১৬ সালের এ পর্যন্ত ২৯ বছরে কয়েক ধাপে ১৬২ কোটি ১৫ লাখ টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার পর ১৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার এই বরাদ্দ সবচেয়ে বড় প্রকল্প।