খুলনা ব্যুরো: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সর্বত্র বোরো ইরি ধানের বাম্ফার ফলন হওয়ায় কৃষককুলে মুখে সোনালী হাসি ফুটে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বাম্ফার ফলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কৃষান কৃষানীরা ইতিমধ্যে তাদের জমি থেকে পাকা ধান কাটা প্রায় শেষ করেছে। এখনও যা আছে তাতেই দেখা যাচ্ছে জমিতে পাকা ধানের সোনালী শীষে ক্ষেত-খামার ভরে রয়েছে। ধানে শোভা পাচ্ছে ক্ষেতগুলো। কৃষকদের ধারনা মতে, অন্যান্য বছরের তলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে কৃষকদের মনে খুশি দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বাহিরদিয়া ইউনিয়নের বাহিরদিয়া বিল, চেচোডাঙ্গা বির, বৈলতলী বিল, চামারে বিল, বেতাগার অগার্নিক বেতাগা বিল, মাসকাটা বিল সহ বিভিন্ন বিল ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে কৃষান-কৃষানীরা বর্তমানে ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোতাহার হোসেন জানান, এ বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী ফলন হয়েছে। এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৮হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ইরি ধানের চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে উপশী আবাদ করা হয়েছে ৫’হাজার হেক্টর জমিতে, চাউল উৎপাদন ২০’হাজার মেঃ টন। হাইব্রীড আবাদ করা হয়েছে ৩’হাজার হেক্টর জমিতে, চাউল হয়েছে ১৫হাজার ৬শত মেঃ টন। স্থানীয় ধানের চাষ করা হয়েছে ২০ হেক্টর জমিতে, চাউল পাওয়া গেছে ৫০ মেঃ টন। মোট চাউল উৎপাদন হয়েছে ৩৫৬৫০ মেঃ টন। অপরদিকে, ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা কাঙ্খিত দাম থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে আশংকায় রয়েছে। আজিজুল মোড়ল, অলিউর রহমান মোড়ল, হাবিবুর রহমান ফারাজী ও বাবুল ফারাজীসহ অনেক কৃষক জানান, কৃষকের ঘরে যখন ধান ফুরিয়ে যায়, ঠিক তখন ধানের বাজার বেড়ে যায়। যে কারনে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। পাশাপাশি অনেকে জানিয়েছেন চলতি মৌসুমে জমিতে ভাড়ার ট্রাকটর দিয়ে জমি চাষ, বীজ-সার ক্রয় করে ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে যে পরিমান খরচ হয় সে তুলনায় বাজার মুল্য পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে শংকায় রয়েছে।