ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে দুই কৃতী শিক্ষার্থীকে ব্যতিক্রমী বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করায় তাদের শরীরের ওজনের সমপরিমাণ অর্থ বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসময় তাদের হাতে সম্মাননা স্বরূপ ‘এসমা এ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়। কৃতী দুই শিক্ষার্থীর নাম মাইনুল হাসান ও মো. মাসরুর ইসলাম তমাল। ডবিস্নউ ডবিস্নউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা এ বৃত্তি ও এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। জানা যায়, ঝালকাঠির নলছিটি মার্চেন্টস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০১৩ সালে মাইনুল হাসান ও ২০১৪ সালে একই বিদ্যালয় থেকে মো. মাসরুর হাসান তমাল ঝালকাঠি জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে। আয়োজক সংস্থা ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা দিয়ে তাদের শরীরের ওজন নির্ণয় করে। এতে মাইনুল হাসনের শরীরের ৫৮ কেজি ওজনে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাসরুর ইসলাম তমালের ৭৮ কেজি ওজনে ৪৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। স্থানীয় টাইগার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে ব্যতিক্রমী এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ আন্ওয়ার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক জনতার উপদেষ্টা সম্পাদক শাহাবুদ্দিন শিকদার, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম শামসুদ্দোহা, আনোয়ার হোসেন আনু, কৃতী শিক্ষার্থী মাসরুর হাসান তমাল, তাঁর বাবা মোস্তাফিজুর রহমান ও মাইনুল ইসলামের বাবা ইয়াকুব আলী বেপারী।
২০১১ সাল থেকে এসমা এ্যাওয়ার্ড ও শরীরের ওজনের সমপরিমাণ টাকা শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে আসছে ডবিস্নউ ডবিস্নউ ফাউন্ডেশন।
বৃত্তি ও সম্মাননা পেয়ে কৃতী শিক্ষার্থী মাসরুর হাসান তমাল বলেন, আমার এ কৃতিত্বের জন্য সর্ব প্রথমে মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার এ অর্জনের পেছনে বাবা মা ও শিক্ষকের নিরলস পরিশ্রম ছিল। তাদের নির্দেশনা মেনে চলেই আমি সফলতা পেয়েছি। আমি ধন্যবাদ জানাই বৃত্তি প্রদানকারী সংগঠনকে। তারা শুধু আমাকেই পুরস্কৃত করেনি, দেশের সকল মেধাবীকে সম্মান করেছে। আমি আয়োজককারীদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আপনা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডবিস্নউ ডবিস্নউ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আন্ওয়ার বলেন, আমি আমার বাবা ও মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মেধাবীদের শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছি। আমি ঝালকাঠির সন্তান, তাই এ জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় যে সবচেয়ে ভাল ফলাফল করবে, তার শরীরের ওজন নির্ণয় করে সমপরিমাণে টাকা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাহাবুদ্দিন শিকদার টাইগার স্কুলের উন্নয়নের জন্য এক লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।