মুহম্মদ মহসীন,মেহেরপুরঃ মেহেরপুর জেলা জুড়ে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবিকার ক্ষেত্রে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। কৃষিকাজের বাইরেও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ বেড়েছে। এবিষয়ে এক তথ্য অনুসন্ধানীতে দেখাগেছে মেহেরপুরের নারীরা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন এখন আগের চেয়ে বেশী করছে। যেকারনে গ্রামীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এক দশক আগের চাইতে অনেক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে নারীদের আত্মহত্যা প্রবণতা সেইসাথে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারী শিক্ষা কার্যক্রম। অন্যদিকে জেলাটির অর্থনীতিতে কৃষির অবদান ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। কৃষিতে লাভবান না হওয়ায় মানুষ বাধ্য হয়ে ভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে দেখাগেছে দরিদ্র মানুষ ছাড়াও মধ্যবৃত্ত এবং ধনী শ্রেণী কৃষি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসছে। সুতরাং সাধারন নারীদের ক্ষেত্রেও এর প্রভাবটা যথেষ্ট পড়তে শুরু করেছে মেহেরপুরের ইউনিয়ন ভিত্তিক গ্রামগুলোতে। এবিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নারীদের অনেকেই মনে করেন নারীদের এই জয়যাত্রা মেহেরপুরের অর্থনীতিতে সাড়া জাগাবে। অনুসন্ধানীতে আরো দেখা গেছে যেমন বাঁশশিল্প, কুটির শিল্প, টেইলার্স শিল্প,কম্পিউটার, বিউটি পার্লার, শপিংমল, ক্ষুদ্র বস্ত্র শিল্প,এ্যমব্রডারী শিল্প, নকশীকাঁথা শিল্প,মৃৎশিল্প, একটি বাড়ি একটি খামার ব্যবস্থায় হাঁস,মুরগী,গাভী, ছাগল,ভেড়া পালন করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। এছাড়াও মিস্টির ঠোংগা, সিমেন্টের ব্যাগ, নেট ব্যাগ তৈরী এবং ইমারত ও কৃষিকাজে জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করছে এমন কি জেলাটির নারীরাও সামাজিক বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে সাথে সাথে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। অতএব সর্বক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে যেকারনে সামাজিক অর্থনীতিতে আসছে সুদিন (চলবে)