মুহম্মদ মহসীন:স্বাধীনতার ৪৫ বছর হলেও মেহেরপুর অঞ্চলে সৃষ্টি হয়নি ছোট-বড় কলকারখানার মত শিল্প প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ২০০২ সালে ১০ একর জমির উপর বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠলেও সেইভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি শিল্পাঞ্চল। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা যায় তারা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার কথা বললেও অনেক ক্ষেত্রে তা বাস্তব চিত্র নয়। সেহেতু জেলাটিতে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় বেকারত্বের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের আর্থিক অভাব বেড়েছে দারুনভাবে। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে জেলা জুড়ে সেবার নামে এনজিও গুলো বিভিন্ন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সুদ ব্যবসার ফাঁদ পেতে অর্থ বানিজ্য করে যাচ্ছে। এই সমস্ত এনজিও সংস্থা বিনামুল্যে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা, দরিদ্রতা থেকে স্বাবলম্বী, ক্ষুদ্র ঋন প্রদান, জন্যসংখ্যা বৃদ্ধিরোধে পদক্ষেপ, এইচআইভ রোধ, বাল্যবিয়ে রোধ, যক্ষা রোগের সচেতনতা বৃদ্ধি, বাড়ির আঙ্গিনায় শাক-সবজির আবাদ, জন্ম নিয়ন্ত্রনরোধে উঠান বৈঠক ও পশুপালনে ও ঋন প্রদানের নামে লোভনীয় প্রস্তাবকে পুঁজি করে সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এদিকে এই এনজিওগুলো দরিদ্র মানুষকে তাদের সুদ ব্যবসার ছত্রছায়ায় আনতে পারলেই চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের অংক কষতে থাকে সপ্তাহ যেতে না যেতেই যমদুতের মত আচরণ করে থাকে। কেউ যদি ঋনের টাকা কারণ বসত: দিতে না পারে তাহলে তাকে সামাজিকভাবে এমনকি আইনী আশ্রয় নিয়ে মানসিক নির্যাতন করে থাকে। এবিষয়ে কেউ খো্জ রাখেনা এই সমস্ত পরিবারে ভাগ্যে ঋনের বদলে কি জুটছে। তবে এ বিষয়ে দৈনিকটির এক অনুসন্ধানীতে জানাগেছে স্থানীয় কিছু প্রতিষ্ঠিত এনজিও আছে যারা সরকার নির্দেশিত সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে সবার প্রসংশিত হয়ে চলেছে।