বিএম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো : বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নিতী ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য শেখ হুমায়ুন। টানা ১০ বছর ইউপি সদস্য থেকে এক দূর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরী করেছেন এই ইউপি সদস্য। ভিজিডি কার্ড,জেলে কার্ড সহ বরাদ্ধকৃত অর্থ নিয়ে করেছে নয় ছয়। স্থানীয়রা কিছু বলেও লাভ পায়নি।কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজারো দূর্নীতি করার পরেও। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,সদর ইউনিয়নের কাঠালতলা গ্রামের ফারুক শেখ এর স্ত্রী মৌসূমী বেগম (৩২) কে ভিজিডি কার্ডের আওতায় ছিলেন।কিন্তু ২৪ মাস যেখানে সুবিধা পাবার কথা সেখানে ১২ মাস পেয়েছে আর বাকী ১২ মাসের সাক্ষর করে নিয়ে বই রেখে দেন ইউপি সদস্য।
এদিকে বয়স্ক ভাতা নিয়েও করেছে ছল ছাতুরী। একই এলাকার মৃতঃ তোরাব আলী হাওলাদার এর ছেলে এজেম্বার শেখ (৮০) ইউপি সদস্য শেখ হুমায়ুনের সরণাপন্ন হয়েছিলেন একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য। সেখানে বয়স্ক ভাতা কার্ড পাবার জন্য নির্ধারিত বয়স পূর্ণ হলেও ইউপি সদস্য বলেন,বয়স এক বছর কম আছে ৫০০ টাকা দিলে বয়স ঠিক করে দেওয়া যাবে। বৃদ্ধ এজেম্বার শেখ নিরুপায় হয়ে ৫০০ টাকা প্রদান করে বয়স্ক ভাতা কার্ড নেন। এখানেই শেষ নেই কাঠালতলা এলাকার স্বামী সন্তানবিহীন বৃদ্ধা আহাতুন বেগম (৭০), থাকে তার বোনের মেয়ের বাড়িতেই।স্বামীর মৃত্যুতে কাতর হয়ে একবার স্ট্রোক করে এখন অচল প্রায়।হাটাচলা করেন বোনের মেয়ের উপর ভর করে। তিনি একটি বিধবা ভাতা কার্ডের আওতায় ছিলেন। ৬ মাস পর একবার ১৫০০ টাকা দেন ইউপি সদস্য শেখ হুমায়ুন। তবে ৬ মাসে পাবার কথা ৩০০০ টাকা।সেখানে তাকে দেওয়া হয়েছিল ১৫০০ টাকা। তবে একবারই সে সরকারী এই সুবিধা ভোগ করলেও পরবর্তীতে ইউপি সদস্য শেখ হুমায়ুন তার বিধবা ভাতা কার্ডটি জব্দ করে রেখে দেন।এব্যপারে বারবার তার সরনাপন্ন হলে কার্ড ফেরত দেবার আশ্বস্ত করলেও আজো পায়নি সেই কার্ড।
Check Also
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক গ্রেফতার
মামুনুল হকছবি: ফেসবুক থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা …