আমিরুল ইসলাম অল্ডাম|: মেহেরপুরের গাংনীতে অবশেষে শ্বশুর পরিবারের লোকজনের নির্যাতনে ঘর জামাই শরিফুল ইসলাম মার গেছেন। আজ বুধবার সকাল ৯ টার সময় কৃষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় তার মুত্যু হয়।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে শ্বশুরালয়ে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় ঘরজামাইকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।মারাত্মক আহত ঘরজামাই শরিফুল ইসলাম (৩৫) উপজেলার বামন্দী শহর সংলগ্ন নিশিপুর গ্রামের ভাদু শেখের ছেলে।নির্যাতিত শরিফুলের স্ত্রী ২ সনত্মানের জননী রোজিনা খাতুন (৩২) দেবীপুর গ্রামের আতাহার আলীর মেয়ে।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা দেবীপুর গ্রাম থেকে শরিফুলকে রক্তাক্ত এবং হাত পা বাঁধা মুমূর্ষ অবস’ায় উদ্ধার করে।অন্যদিকে স’ানীয়রা আহত রোজিনাকে উদ্ধার করে দুজনকেই গাংনী উপজেলা স্বাস’্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করেছে।স’ানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম বেশ কয়েকবছর আগে বিয়ে করেছে। বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সাথে প্রায়শঃ মনোমালিন্য হয়। সেই সুবাদে কিছুদিন হলো স্ত্রীর কথামত শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করে আসছিল। সোমবার রাতে শরিফুল ইসলাম নিশিপুর থেকে শ্বশুরবাড়ি দেবীপুরে যায়। ঐ রাতে স্ত্রীর সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে বেধড়ক মারপিট করে নির্যাতন চালায়। এতে শ্বশুর পরিবারের লোকজন ড়্গিপ্ত হয়ে সকালে শরিফুলকে বেধে মারপিট করে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তার মুখে ঘাস মারা কীটনাশক ঢেলে দিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায়। গাংনী উপজেলা স্বাস’্যকমপেস্নক্সে চিকিৎসার পর তার অবস’ার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শরিফুলের মামাতো ভাই ইলিয়াস হোসেন জানায়, শরিফুলকে তার স্ত্রীর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে।খবর পেয়ে স’ানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য ও গাংনী থানা পুলিশের একটি দল শরিফুলকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি তদনত্ম করা করা হচ্ছে ।