: নিহত আমিরুল ইসলাম সবুর
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ: কুষ্টিয়ায় আলাদা ঘটনায় আমিরম্নল ইসলাম সবুর ও ক্যারাই বিশ্বাস নামে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী উপজেলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স’ানীয় সুত্র জানায়, সকালে কুমারখালী উপজেলার ভড়ুয়াপাড়া মাঠের সষ্যক্ষেতে আমিরম্নল ইসলাম সবুর (৪৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস’ল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। রোববার রাতে আমিরম্নল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মৃত্যুর কারন অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
আমিরম্নল ইসলাম উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।
সবুর কৃষিকাজ করতো বলে জানায় তার পরিবার।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিব হাসান জানান, মৃত ব্যক্তির দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ঠিক কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদনেত্মর প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সুগার মিল এলাকার মরাগড়াই খাল থেকে ক্যারাই বিশ্বাস নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ক্যারাই বিশ্বাসের বাড়ি কুষ্টিয়া সুগার মিল এলাকার কাটাজুলাপাড়ায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ক্যাপশন: (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত
কুষ্টিয়ার এসপিকে হাইকোর্টের সতর্কতা
কথায় নয়, কাজে পটু হতে হবে,পুলিশি রাষ্ট্র বানাবেন না
কুষ্টিয়া থেকে শরিফ মাহমুদ: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের ঘটনায় পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতকে সতর্ক করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানাবেন না।’
এর আগে বিচারিক হাকিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় এই এসপিকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল। গতকাল সোমবার হাইকোর্টে তলবে হাজির হয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ পুলিশ সুপারকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন।
একইসঙ্গে ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী ও ওই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সাংবাদিকসহ সংশিস্নষ্ট কাউকে হয়রানি না করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কুষ্টিয়ার এসপি এস এম তানভীর আরাফাতকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘পত্র-পত্রিকায় যা দেখলাম তা যদি কুষ্টিয়ার বাসত্মব চরিত্র হয়, তবে তা হবে জাতির জন্য ভয়ঙ্কর। এমন যাতে মানুষের মনে না হয় যে দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্র বানাবেন না। জাতি উৎকণ্ঠিত, এটা নিরসনের দায়িত্ব আপনাদের।’
হাইকোর্ট আরও বলেন, ‘পুলিশকে কথায় নয়, কাজে পটু হতে হবে। কে কোন মতাদর্শের, কোন দলের, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। সর্বস-রের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ কারও জন্য ভীতিকর না হয়ে তাদের কর্মকান্ডে মানুষের বন্ধু হতে হবে।’
আদালতে কুষ্টিয়ার এসপির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরম্নল হক চৌধুরী ও আহমেদ ইশতিয়াক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তাহিরম্নল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. লোকমান হোসেন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হাতেম আলী।