বি এম রাকিব হাসান, খুলনা: খুলনায় শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরম্ন হয়েছে। উৎসব আর আনন্দের মাঝে অনেক গ্রামে শুরম্ন হয়েছে আগাম ধান কাটা। খুলনা শহরে এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে।
শীতের তীব্রতা থেকে রড়্গা পেতে মানুষ গরম কাপড়ের দোকানে অগ্রীম ভিড় জমাতে শুরম্ন করেছে। বিত্তবানরা ছুটছে বড় বড় শপিং মলে। মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের ভীড় দেখা যায় ফুটপাত আর পুরাতন মার্কেটের দোকানে।
খুলনার শপিংমল ও পুরাতন কাপড়ের দোকানিরা তাদের দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, টুপি তুলতে শুরম্ন করেছে। বড় শপিংমল থেকে ক্রেতাদের বেশি দেখা যাচ্ছে খুলনায় গরিব মানুষের বিপনী হিসাবে পরিচিত নিক্সন মার্কেটে। শীতের কাপড় ক্রয়ে মার্কেটে ভীড় জমাতে শুরম্ন করেছে সব শ্রেনীর ক্রেতারা।
দোকানিরা বলছেন, এ বছরের শুরম্ন থেকে নানা প্রতিকূলতার কারণে তারা ব্যবসা তেমন করতে পারেনি। শীতের শুরম্নতে ক্রেতাদের যেমন সমাগম দেখছি, মনে হয় সবকিছু আগের মতো হয়ে গেছে। খুলনা মহানগরীর নিক্সন মার্কেটের মধ্যে রয়েছে আব্দুল জব্বার বিপনী বিতান। যেটি পুরাতন কাপড়ের মার্কেট হিসেবে খুলনা মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিত। গত দু’দিন ধরে সেখানে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। ক্রেতাদের সামাল দিতে দোকানে কর্মরতদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে।
অন্যদিকে নিন্ম আয়ের মানুষ খুলনা স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে থেকে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে তাদের প্রিয়জনের জন্য কাপড় ক্রয় করছেন। জলিল নামের একজন রিক্সা চালক বয়রা থেকে এসেছিলেন তার পরিবারের জন্য গরম কাপড় ক্রয় করতে। দাম সসত্মা থাকায় তিনি এখান থেকে গরম কাপড় ক্রয় করে খুব খুশি।
নিক্সন মার্কেটের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, দোকানে দেশী ও বিদেশী সব ধরনের গরম কাপড় পাওয়া যায়। তবে ক্রেতারা বিদেশী জ্যাকেট ও সোয়েটারের প্রতি বেশ ঝুঁকছে। আমরা গত দু’দিন আগে দোকানে গরম কাপড় ওঠাতে শুরম্ন করেছি। গত কয়েক দিন আগে দোকানে তেমন কাপড় বিক্রি হয়নি। তবে আজ দু’দিন ক্রেতাদের আগমন একটু বেশি। বর্তমানে জ্যাকেট ও সোয়েটার বিক্রি বেশি হচ্ছে।
শীতের পোষাক কিনতে আসা মানিক নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ দু’দিন হলো আমাদের এলাকায় শীত শহরের তুলনায় একটু বেশি। বিকালের পর থেকে কুয়াশা দেখা যায়। শীত মানে বাড়তি ঝামেলা। নিজেকে শীতের প্রকোপ থেকে রড়্গার জন্য তিনি একটি জ্যাকেট ক্রয় করেছেন। তবে গতবারের তুলনায় এবার গরম কাপড়ের দাম একটু বেশি নিয়েছে বলে তিনি মনত্মব্য করেন। বেশি দাম নেওয়ার কারণ জনতে চাইলে দোকানি করোনাভাইরাসের দোহায় দেন।