আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : গাংনীতে হাড় কাঁপানো শীত না আসলেও শীতের আমেজ শুরুহয়েছে। এবারের শীত বলা চলে একটু দেরীতে অনুভূত হচ্ছে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে কার্তিক মাস শুরম্ন হলেই শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে লাগতে শুরম্ন হয়। কিন’ এ বছর অতি বৃষ্টি ,ঝড়-ঝাপটা সর্বোপরি বৈরি আবহাওয়া থাকার কারনে প্রচন্ড গরম পড়েছে। হঠাৎ শুষ্ক আবহাওয়া বয়ে যাওয়ার কারনে সকাল থেকে সারাদিন কিছুটা গরম লাগলেও বিকেলের দিকে শির শিরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সেকারনে বাজারে ইতোমধ্যেই শীতের পোশাক বিক্রি শুরম্ন হয়ে গেছে।
গাংনী বাজারের হারম্নন বস্ত্রালয়ের সামনে প্রতিবছরের ন্যায় নিকসন মার্কেটে (ছাড় কাপড়) বিক্রি শুরু হয়েছে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বিশেষ করে মহিলারা তাদের পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য শীত বস্ত্র কমমূল্যে ক্রয় করতে ব্যসত্ম হয়ে পড়েছে।
নিকসন মার্কেট ঘুরে জানা গেছে, এবছর দেরী করে শীত আসছে তাই প্রথম থেকেই ক্রেতারা তাদের পছন্দমত পোশাক ক্রয় করতে আসতে শুরু করেছে।এবছর পোশাকের মূল্য কেমন হবে,, এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাকী জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর কিছুটা দাম বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারন করোনা পরিস্থি’তিতে বাইরের দেশ থেকে পুরাতন কাপড় (পোশাক) রপ্তানী করতে পারেনি। আমরা বেল ধরে পোশাক ক্রয় করে থাকি। এসব বেলের মধ্যে ভাল মানের কি নিম্ন মানের পোশাক রয়েছে তা বলতে পারবো না। ভাগ্যোর উপর সবকিছু নির্ভর করে। তবে আমরা যেসব বেল ক্রয় করে নিয়ে এসেছি। গতবছরের অবিক্রিত পোশাক বেশী লড়্গ্য করা যাচ্ছে।
শীত নিবারণের জন্য নিকসন মার্কেটের পোশাকই গরীবের একমাত্র ভরসা। অভিজাত দোকানগুলোতে শীত বস্ত্রের দাম অনেকটা বেশী।
বাজারে ক্রেতা মালসাদহ গ্রামের রওশনারা খাতুন জানান, সকালের দিকে শীত না লাগলেও বিকেল হলেই শির শিরে শীত লাগায় আগে ভাগেই পোশাক ক্রয় করতে এসেছি। তবে পছন্দমত উন্নত পোশাক খুঁজে পাচ্ছি না। এছাড়াও দাম টা অনেক বেশী চাইছে। আমরা গরীব মানুষ। বাজারের বড় দোকানে শীত বস্ত্র ক্রয় করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। পোশাকের দাম কিছুটা কমহলে জ্যাকেট বা স্যুয়েটারগুলো আমরা কিনতে পারতাম।