আমিরুল ইসলাম অল্ডাম : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামে জমি সংক্রাত্ম বিরোধের জেরে বাদী ফাছকুরম্ননীর বসত বাড়িতে হামলা ও উচ্ছেদের চেষ্টাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন করেন মামলার বাদি জমির মূল সত্বাধিকারী উপজেলার কামারখালী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে ফাছকুরম্ননী।
সংবাদ সম্মেলনে ফাছকুরম্ননী লিখিত বক্তব্যেই বলেন, একশ বিশ বছরের পৈত্রিক ভিটার ৫২শতক জমিতে আমরা তিন ভাই বসবাস করে আসছি। কয়েক বছর ধরে আমাদের আত্মীয় আক্তারুজ্জামান খাঁন ভুট্টো ও তার ভাই বিপস্নব হোসেন এ জমি তাদের বলে দাবি করেন। এনিয়ে কয়েক বছর যাবত আদালতে মামলা চলছে। ওই জমির উপর আদালত ১৪৫ ধারা জারি করেছে। ১৪৫ ধারা জারি ভঙ্গ করে আক্তারম্নজ্জামান খাঁন ভূ্ট্েটা ও তার ভাই বিফ্লব হোসেন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে গত শুক্রবার আমাদের বসত ভিটায় হামলা করেন। তাদের হামলায় ফাছকুরুনী মারাত্বকভাবে আহত হয়েছিল। হামলা সময় তারা ঘরে রাখা একটি ফ্রিজ,একটি টিভি,মোবাইলফোনসহ স্বর্ণের চেইন,দুল,বালা ও হার লুট করে নিয়ে যায়। তারা হামলা করেই ড়্গ্যানত্ম হয়নি।
ফাছকুরম্ননী আরও বলেন,আমার জমিতে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স’াপনকৃত আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী (বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য) সাহিদুজ্জামান খোকনের নির্বাচন অফিস ছিলো। অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে তছনছ করেন। হামলার সময় ভূট্টোরা দু’ভাই আমাকে ও আমার ভাইদের বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকী দেয়। বাড়ি না ছাড়লে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি প্রদান করেন। আমি তাদের হাতে হামলার শিকার হওয়ার পর স’ানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ডাক্তারের কাছে নিযে চিকিৎসা দেন। পরে আমি বাদি হয়ে আক্তারম্নজ্জামান খাঁন ভূ্ট্েটা ও তার ভাই বিপস্নব হোসেনসহ ১৬ জনের নামে মেহেরপুর আদালতে মামলা করি।মামলার পর থেকে আসামীরা আমাদের বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। প্রাণনাশের ভয়ে আমার পরিবার বাড়ি থাকতে ভয় পাচ্ছে।
আমি আপনাদের সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আসামীদের বিরম্নদ্ধে তদনত্ম পূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরম্নল ইসলাম অল্ডাম, সেক্রেটারী নুরুজ্জামান পাভেলসহ সকল সাংবাদিক উপস্থি’ত ছিলেন।