KBDNEWS ডেস্ক : ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগি্নকা-ের ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে লন্ডনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালের দিকে লন্ডনের ২৭ তলা ল্যানচেস্টার ওয়েস্ট এস্টেট ভবনে আগুন লাগে। সে সময় ভবনের ভেতরে ৬০০’র বেশি মানুষ ছিল এবং তাদের বেশিরভাগই ঘুমিয়ে ছিল। বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকলবাহিনী।
এ অগি্নকা-ে বেশ কয়েকজন নিহত ও ৫০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আহতদের স্থানীয় ৫টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভবনের ভেতরে বহু মানুষ আটকে আছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। স্থানীয় সময় ভোররাতে পশ্চিম লন্ডনে ২৭ তলার এই গ্রিনফেল টাওয়ার এভাবেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলকর্মীরা। তাদের চেষ্টায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ভোরের দিকে আবারো ভবনের বিভিন্ন তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কালো ধোয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা। আগি্নকা-ের পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসলাপাতালে নেয়া হলেও; ভেতরে অনেকে আটকা পড়েন।
আটকে পড়াদের একজন বলেন, ্তুওই ভবনে আমার বন্ধুর একটি ফ্ল্যাট আছে। সেখানেই ছিলাম আমরা। সবাই ঘুমে ছিলাম। কিছু একটা পোড়ার গন্ধ পেয়ে সজাগ হয়ে যাই। আগুন ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে দরজা খুলে দেখি শুধু ধোয়া আর ধোয়া। কোনো উপায় না পেয়ে অনেক কষ্ট করে জানালা থেকে বেয়ে নিচে নেমে আসি। আরও একজন বলেন, ্তুগভীর রাতে হঠাৎ ধোয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। বুঝলাম কিছু একটা গ-গোল হয়েছে। এর মধ্যেই চিৎকার চেচামেচির শব্দে বুঝতে পারলাম আগুন লেগেছে। দ্রুত ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ি। টাওয়ারটিতে ১শ্থ ২০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যারা নিচের দিকের ফ্লাটে ছিলো তাদের অনেকে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে দড়ি বেয়ে নেমে আসে। নিচের তলায় অনেক গাড়ি চালক ছিলেন। তারা এ কাজে সহায়তা করে।
২শ্থ দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অগি্নকা-ের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা না গেলেও, রেফ্রিজারেটরের ত্রুটি থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে এক সূত্রের বরাতে জানায় রুশ গণমাধ্যম আরটি। দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলতে থাকায় পুরো ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আশেপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।