চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুরে দুর্বৃত্তরা বাউল আশ্রম আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিন বাউলকে তারা চুল কাটাসহ নির্যাতন করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাউলদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে গোবিন্দপুরের জুলমত শাহর আশ্রমে এই ঘটনা ঘটে। জুলমত শাহ জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৮-৯ জন যুবক আশ্রমে ঢুকে প্রথমে জুলমত শাহকে খোঁজ করে। এরপর তাঁকে পেয়ে আশ্রমের ভেতরে একটি গাছের সাথে হাত-পা এবং চোখ বেঁধে রাখে। এসময় তাঁর সাথে থাকা স্ত্রী মোমেনা বেগম ও গুরুভাই রিনুপদ হালদারকেও হাত-পা এবং চোখ বেঁধে রাখা হয়। তবে, আশ্রমে সেসময়ে থাকা জুলমত শাহর আট বছর বয়সী নাতি ছেলে রাকিবকে দুর্বৃত্তরা কিছু বলেনি। হাত-পা-মুখ বেঁধে রাখার পাশাপাশি তারা বাউল জুলমত ও রিনুপদ হালদারের চুল কেটে দেয়। এরপর একে একে দুটি বসতঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আগুনে নগদ ১৭ হাজার টাকা, বইপত্র, আসবাবপত্র, কাঁথা ও বালিশ, এক বস্তা চাল, শ্যালোমেশিন পুড়ে যায়। অসংখ্য গাছপালা কেটে দেয়া হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান দুটি বসত ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তিনি নিজে ও পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল খালেক গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনে। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
২ বাউলকে মারধর-চুল কর্তন
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় দুই বাউলকে মারধরের পর চুল কেটে তাদের বসত ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার গোবিন্দপুরে বাউল অনুসারী জুলতম খাঁ ও নগেন হালদারকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে বলে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান জানান। এ সময় দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে তাদের একটি বসত ঘর পুড়িয়ে দেয়। ওসি বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে ৮/১০ জন দুর্বৃত্ত গোবিন্দপুর গ্রামে জুলমত খাঁর বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা জুলমত খাঁ ও তার সাথে থাকা নগেন হালদারকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় দুর্বৃত্তরা সাধুদের বেঁধে রেখে তাদের খড়ের তৈরি একটি বসত ঘড়ে আগুন দেয়। কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।